আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) হলো করদাতার বা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময়কালের (অর্থবছর) মোট আয়, ব্যয়, সম্পদ ও কর পরিশোধের হিসাব সরকারের নিকট লিখিতভাবে জমা দেওয়া।
এটি NBR (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) নির্ধারিত ফর্মে জমা দিতে হয়।
🔷 আয়কর রিটার্ন কেন দিতে হয়?
- আয়ের স্বচ্ছতা ও বৈধতা প্রমাণের জন্য
- সরকারের রাজস্ব আদায়ে অংশ নিতে
- ভবিষ্যতে ব্যাংক লোন, ভিসা, টেন্ডার, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি কাজে প্রয়োজন হয়
🔷 আয়কর রিটার্ন দিলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?
- সরকারিভাবে আয়ের বৈধতা নিশ্চিত হয়
- ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত সুনাম বৃদ্ধি পায়
- ব্যাংক থেকে লোন নিতে সুবিধা
- বিদেশ ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রসেস সহজ হয়
- টেন্ডার, চাকরি বা জমি/ফ্ল্যাট নিবন্ধনে প্রমাণ হিসেবে কাজ করে
- ভবিষ্যতে কর ছাড় বা কর সুবিধা পাওয়া যায়
🔷 আয়কর রিটার্ন না দিলে কী কী অসুবিধা হয়?
- জরিমানা ও সুদ আরোপ হয়
- NBR থেকে নোটিশ/আইনি পদক্ষেপ আসতে পারে
- ব্যাংক, ব্যবসা, ট্রেড লাইসেন্স বা ভিসা ইত্যাদি কাজে বাধা
- ভবিষ্যতের কর হিসাব জটিল হয়ে পড়ে
- কালো টাকা বৈধ করতে না পারা
🔷 আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে কেন?
- এটি আইনগত বাধ্যবাধকতা
- করদাতা হিসেবে দায় পালন করা
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা
- ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করা
🔷 আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে কী কী অসুবিধা হতে পারে?
- প্রতি বছর ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা জরিমানা
- ১০% হারে সুদ আরোপ হতে পারে
- ভবিষ্যতে রিটার্ন জমা দিতে গেলে বিগত বছরের হিসাবসহ জমা দিতে হবে
- আইনগতভাবে নোটিশ ও হয়রানি হতে পারে
- ট্যাক্স কার্ড/পরিচয়পত্র পাওয়া বন্ধ হতে পারে
🔷 ১ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল না করলে কত টাকা জরিমানা দিতে হয়?
✅ আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী:
- মিনিমাম ৫,০০০ টাকা
- অথবা আপনার করযোগ্য আয়ের উপর নির্ধারিত করের ১০%, যেটি বেশি
- প্রতিমাসে ১০% হারে সুদ বাড়তে পারে
🔷 মাসে কত টাকা আয় হলে আয়কর রিটার্ন দিতে হবে?
বাংলাদেশে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য করমুক্ত সীমা:
করদাতার ধরন | বার্ষিক আয় | মাসিক আয় (গড়) | রিটার্ন বাধ্যতামূলক |
সাধারন ব্যক্তি | ৩,৭৫০,০০০ টাকা | ২১,২৫০ টাকা | হ্যাঁ (TIN থাকলে) |
মহিলা/প্রবীণ (৬৫+) | ৪,০০,০০০ টাকা | ৩৩,৩৩৩ টাকা | হ্যাঁ |
প্রতিবন্ধী/মুক্তিযোদ্ধা | ৪,৭৫,০০০ টাকা | ৩৯,৫৮৩ টাকা | হ্যাঁ |
✅ তবে, কেউ যদি এই সীমার নিচে আয় করেন কিন্তু TIN আছে, তাহলে “জিরো রিটার্ন” (শূন্য রিটার্ন) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
✅ বিশেষ দ্রষ্টব্য:
TIN থাকলেই রিটার্ন দিতে হবে, আয় থাক বা না থাক। তা না হলে জরিমানা হবে।
📌 আপনার জন্য সহযোগিতায়:
সেগুনবাগিচা কনসালটেন্সী
আমরা টিন সার্টিফিকেট, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন, অডিট, কোম্পানি সাপোর্ট ইত্যাদি বিষয়ে পরিপূর্ণ সহায়তা দিয়ে থাকি।

অফিসের ঠিকানা : ফারইস্ট টাওয়ার-২, ৩৬, তোপখানা রোড, ৩য় তলা, (পুরানা পল্টন মোড়) ঢাকা-১০০০।
মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার : +8801933 353509, +8801933 353508, +8801933 353519, 01933353513,
অফিসে যোগাযোগের সময়: সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পযর্ন্ত।
ই-মেইল : info@segunbagicha.com
ওয়েব-সাইট : www.segunbagicha.com