🧾 কোম্পানি অডিট কী?
Company Audit হচ্ছে কোম্পানির আর্থিক বিবরণ (Financial Statements) যেমন: আয়-ব্যয়, লাভ-ক্ষতি, সম্পদ ও দায়—এসব যাচাই ও বিশ্লেষণের একটি পদ্ধতি, যা একজন স্বীকৃত অডিটর (CA বা FCA) সম্পাদন করেন।
👉 এটি মূলত RJSC, National Board of Revenue (NBR) এবং বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা প্রমাণ করে।
✅ কেন কোম্পানি অডিট করানো জরুরি?
- আইনগত বাধ্যবাধকতা – RJSC তে বার্ষিক রিপোর্ট সাবমিশনের জন্য
- কর হিসাব (Income Tax Return) সঠিকভাবে দাখিলের জন্য
- ব্যাংক লোন, টেন্ডার বা ইন্সুরেন্স ক্লেইমে দরকার
- বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে
- শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রকৃত হিসাব জানানো
📜 অডিট রিপোর্টে যা থাকে:
- আয়-ব্যয়ের হিসাব (Profit & Loss Account)
- ব্যালেন্স শীট
- ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট
- নোটস টু একাউন্ট
- অডিটরের মতামত (Auditor’s Opinion)
- পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারের নাম ও শেয়ার স্টেটাস (Form 10, 23B, etc.)
📅 অডিট কবে থেকে করতে হয়?
- কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের প্রথম অর্থবছর শেষে
- এরপর প্রতি অর্থবছরের শেষে (৩০ জুন)
- সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে অডিট রিপোর্ট RJSC তে দাখিল করতে হয় (ডিসেম্বরের মধ্যে)
🗂️ কোম্পানি অডিটের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- কোম্পানি Incorporation Certificate (RJSC)
- Memorandum & Articles of Association
- Trade License
- TIN, BIN (VAT) সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (পুরো অর্থবছরের)
- বিক্রয় ও ক্রয়ের ভাউচার/ইনভয়েস
- ভাড়া, বেতন, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির রশিদ
- আগের বছরের অডিট রিপোর্ট (যদি থাকে)
💰 অডিট ফি (প্রায়):
কোম্পানির ধরন | বার্ষিক টার্নওভার | আনুমানিক অডিট ফি |
ছোট কোম্পানি | < ৫০ লাখ টাকা | ৮,০০০ – ২০,০০০ টাকা |
মাঝারি কোম্পানি | ৫০ লাখ – ১ কোটি | ২০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা |
বড় কোম্পানি | ১ কোটি + | ৫০,০০০ – ২ লক্ষ + (CA ফার্ম ভেদে) |
⚖️ কোম্পানি অডিট না করলে কী সমস্যা হয়?
❌ RJSC তে বার্ষিক ফাইলিং করা যাবে না
❌ জরিমানা ও বিলম্ব ফি দিতে হয়
❌ ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন যথাযথভাবে দাখিল করা সম্ভব না
❌ কোম্পানির কর্পোরেট পরিচয় দুর্বল হয়
❌ ব্যাংক লোন, টেন্ডার, বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট রিজেক্ট হতে পারে
🔄 অডিট রিপোর্ট দাখিল কোথায় কোথায় করতে হয়?
- ✅ RJSC (Registrar of Joint Stock Companies and Firms)
- ✅ NBR (আয়কর অফিস – ট্যাক্স রিটার্নে সংযুক্তি হিসেবে)
- ✅ BIDA (যদি বিদেশি বিনিয়োগ থাকে)
- ✅ ব্যাংক/ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান (যদি প্রয়োজন হয়)
📌 সেগুনবাগিচা কনসালটেন্সী কীভাবে সাহায্য করে?
🔹 এক্সপার্ট CA ফার্মের মাধ্যমে অডিট সম্পন্ন
🔹 সকল ডকুমেন্ট প্রস্তুত ও গাইডলাইন
🔹 আরজেএসসি ও এনবিআরে রিপোর্ট সাবমিশন
🔹 পুরোনো বছরের পেন্ডিং অডিটও করিয়ে দেওয়া
🔹 জরিমানা রোধে দ্রুত প্রসেসিং

অফিসের ঠিকানা : ফারইস্ট টাওয়ার-২, ৩৬, তোপখানা রোড, ৩য় তলা, (পুরানা পল্টন মোড়) ঢাকা-১০০০।
মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার : +8801933 353509, +8801933 353508, +8801933 353519, 01933353513,
অফিসে যোগাযোগের সময়: সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পযর্ন্ত।
ই-মেইল : info@segunbagicha.com
ওয়েব-সাইট : www.segunbagicha.com