🏛️ BSTI রেজিস্ট্রেশন কী?
BSTI (Bangladesh Standards and Testing Institution) বাংলাদেশ সরকারের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান, যা দেশে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করে।
BSTI রেজিস্ট্রেশন/সনদপত্র হলো এমন একটি সরকারি অনুমোদনপত্র, যা পণ্যের মান নির্ধারণ করে এবং সেই পণ্য বাজারজাতকরণে সরকারি স্বীকৃতি দেয়।
📦 যেসব পণ্যের জন্য BSTI রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক:
BSTI ১৮১টির বেশি পণ্যকে বাধ্যতামূলকভাবে সনদ গ্রহণের আওতায় এনেছে, যেমন:
- বোতলজাত পানি
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
- ঘি, ময়দা, চিনি, বিস্কুট
- ইলেকট্রনিক পণ্য: ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ
- কসমেটিকস: হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টুথপেস্ট
- ইম্পোর্ট পণ্য
(সম্পূর্ণ তালিকা BSTI-এর ওয়েবসাইটে রয়েছে)
📜 BSTI রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
(বাংলাদেশি উৎপাদকের জন্য)
- ট্রেড লাইসেন্স
- TIN সার্টিফিকেট
- VAT/BIN সার্টিফিকেট
- কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন (যদি থাকে)
- ফ্যাক্টরি লাইসেন্স / পরিবেশ ছাড়পত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
- প্রোডাক্ট লিস্ট ও ফর্মুলেশন
- পরীক্ষার জন্য নমুনা
- ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট (BSTI / স্বীকৃত ল্যাব থেকে)
- পরিদর্শনের সময় উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ চিঠি
(আমদানিকারকের জন্য)
- ইমপোর্ট লাইসেন্স (IRC)
- বিল অব এন্ট্রি ও ইনভয়েস
- বিদেশি প্রোডাক্টের টেস্ট রিপোর্ট
- কোয়ারেন্টাইন সনদ (যদি প্রয়োজন হয়)
🛠️ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া (বাংলাদেশি উৎপাদকের জন্য):
- অনলাইন আবেদন BSTI ওয়েবসাইটে
- ডকুমেন্ট সাবমিশন
- BSTI ইন্সপেকশন ও স্যাম্পল সংগ্রহ
- ল্যাব টেস্টিং রিপোর্ট
- রেজিস্ট্রেশন ফি জমা
- সনদপত্র প্রদান (CM License) – Validity: ৩ বছর
🕒 BSTI রেজিস্ট্রেশন পেতে সময় লাগে:
✅ সাধারণত ৩০–৪৫ কর্মদিবস, সব ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে
✅ যদি ল্যাব টেস্ট ব্যর্থ হয়, তখন পুনরায় নমুনা জমা দিতে হয়
✅ BSTI রেজিস্ট্রেশন করলে কী সুবিধা পাওয়া যায়?
- পণ্য বাজারজাতকরণের বৈধতা
- সুপারশপ, হোলসেল ও কর্পোরেট সাপ্লাইয়ে অনুমতি
- পণ্যের প্রতি ভোক্তার আস্থা বাড়ে
- সরকারি টেন্ডারে অংশগ্রহণে সুবিধা
- রপ্তানি সহজ হয় (বিশ্বব্যাপী গৃহীত সনদ)
- আইনগত সুরক্ষা
🚫 BSTI রেজিস্ট্রেশন না করলে কী অসুবিধা হয়?
❌ বাজারজাতকরণে আইনগত বাধা
❌ পণ্য বাজেয়াপ্ত হতে পারে
❌ জরিমানা / মামলা হতে পারে
❌ ব্র্যান্ড ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়
❌ ইমপোর্ট পণ্য শুল্ক কর্তৃপক্ষ আটকে দিতে পারে
🔄 রিনিউয়াল প্রক্রিয়া:
- রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ সাধারণত ৩ বছর
- মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রিনিউ আবেদন করতে হবে
- নতুন করে ইন্সপেকশন/টেস্ট হতে পারে
📌 সেগুনবাগিচা কনসালটেন্সী কীভাবে সাহায্য করে?
🔹 পণ্যের ধরন অনুযায়ী সঠিক নির্দেশনা
🔹 অনলাইন আবেদন ও কাগজপত্র প্রস্তুত
🔹 টেস্টিং ও নমুনা জমার সহায়তা
🔹 লাইসেন্স রিনিউয়াল ও ফলোআপ
🔹 সময়মতো সনদ নিশ্চিত

অফিসের ঠিকানা : ফারইস্ট টাওয়ার-২, ৩৬, তোপখানা রোড, ৩য় তলা, (পুরানা পল্টন মোড়) ঢাকা-১০০০।
মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার : +8801933 353509, +8801933 353508, +8801933 353519, 01933353513,
অফিসে যোগাযোগের সময়: সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পযর্ন্ত।
ই-মেইল : info@segunbagicha.com
ওয়েব-সাইট : www.segunbagicha.com